এসি থেকে বের হয়েই রোদে গেলে ব্রেনের কি ক্ষতি হয় জানেন



বাহিরের তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে এসিই যেনো স্বস্তির নাম। এসির হাওয়ায় বসলে মনে হয়, প্রাণ যেন জুড়িয়ে গেল। কিন্তু জানেন কি, এই এসিই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য। এসি থেকে বের হয়েই রোদে গেলে হতে পারে ব্রেন হ্যামারেজের মতো ক্ষতি। এছাড়াও এসির রয়েছে বেশকিছু ক্ষতিকর দিক।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

বিশেষজ্ঞদের কথায়, নানা কারণে এসির বাতাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

জেনে নিন এসির ক্ষতিকর দিকগুলো—

    ব্রেন হ্যামারেজের ঘটনা বেশিরভাগই শীতকালে দেখা যায়। কিন্তু সামান্য একটা ভুলে ব্রেন হ্যামারেজ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসি থেকে বের হয়েই যারা রোদে চলে যান, তাদের ব্রেন হ্যামারেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ৪০-৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এর সম্ভাবনা দেখা যায়।
    উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় তাদের ব্রেন হ্যামারেজ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
    এসি বাতাসের জলীয় অংশ টেনে শুষে নেয়। তাই শ্বাসনালিও একটা সময় শুষ্ক হয়ে যায়। এমনটা বেশিক্ষণ থাকলে শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হয়। তাই অনেকে এমনিই এসির হাওয়ায় থাকতে পারেন না।
    অনেকের ত্বক বেশ শুষ্ক। সহজেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। তারা এসির হাওয়া থেকে সাবধান। গরম পরিবেশ থেকে সরাসরি এসিতে ঢুকলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
    এসির বাতাস সবকিছুই শুষ্ক করে দেয়। তাই আপনার ত্বকের জলীয় অংশও টেনে দ্রুত শুষ্ক করে দেবে। তা থেকে চুলকানি ও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    চুলের সমস্যাও হতে পারে একইভাবে। চুলের গোড়া শুষ্ক করে দেয় এসির হাওয়া। আর্দ্রতাকে টেনে বের করে নেয় ওই ঠান্ডা বাতাস। ফলে চুলের নানা সমস্যা বেড়ে যায়।
    অনেকেই বাইরে থেকে ঘেমে এসেই এসি চালিয়ে বসেন। তাদের জন্য সতর্ক বার্তা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘাম হচ্ছে শরীরের দূষিত বর্জ্য, এটি বের হয়ে গেলেই ভালো।
    কিন্তু বাইরে থেকে ঘেমে এসে এসির বাতাসে বসলে ওই ঘাম আবার শুকিয়ে গায়েই বসে যায়। তাতে হতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা। চট করে বড় ধরনের ঠান্ডাও লেগে যেতে পারে।
    এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাইরে থেকে ঘেমে আসলে প্রথমে একটা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে ঘামটা ভালো করে মুছুন। এরপর কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাসে শরীরকে স্বাভাবিক করে তবেই এসির বাতাসে বসুন।
    শুধু তাই নয়, এসির পানি যেখানে পড়ে, সেখানে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াবাহিত প্রাণঘাতী মশার জন্ম হয়। সেক্ষেত্রেও সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    বাইরে যাওয়ার আগে এসি বন্ধ করুন। ১৫ মিনিট পর বাইরে যান যাতে শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সমান হয়।
    আরও পড়ুন
    ঘূর্ণিঝড়ের সময় হাতের কাছে রাখবেন যেসব দরকারি জিনিস

    রোদে থাকলে শরীরকে ঠিক রাখুন। যতটা সম্ভব হাইড্রেটেড থাকুন। পানি পান করুন এবং তরল খবার খান। 

LihatTutupKomentar