ভূমি মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে
সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তি নামজারি প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার দিচ্ছেন। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি প্রক্রিয়া বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০-এর ১৪৩ (গ) ধারায় খতিয়ান সংশোধনের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা আছে, ধারা ৮৯-এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তির পর, রাজস্ব কর্মকর্তা খতিয়ানে নামজারির জন্য একটি নথি খুলবে এবং নামজারির জন্য জোতের সহ-অংশীদাররা প্রতি নোটিশ জারি করবেন। প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫-এর ৮, ৯ এবং ২৩ ধারাতেও নামজারির কথা বলা হয়েছে। সরকার জনগণের সুবিধার্থে ও ভোগান্তি কমাতে নামজারি প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জমি ক্রয় কিংবা অন্য কোনোভাবে মালিকানা পরিবর্তন পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’-এর মাধ্যমে।
এতে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৯ মার্চ রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নামজারি প্রক্রিয়া কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে দেশের ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান। শিগগিরই দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হবে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ।
নামজারি বা মিউটেশন হচ্ছে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মালিকানা পরিবর্তন করা।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করার পর তা নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করে সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তাঁর নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। কোনো ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাঁকে একটি খতিয়ান দেওয়া হয় যেখানে তাঁর অর্জিত জমির একটি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। দুটি জরিপ কার্যক্রমের মধ্যবর্তী সময়ে রেকর্ড সংশোধন করা হয় নামজারির মাধ্যমে। জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম প্রধান শর্ত সরকারি রেকর্ডে/খতিয়ানে নাম থাকা।