ভূমি মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে সব রকমের সবজির দামও। মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে। তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, চারদিনের মধ্যে চালের দাম কমিয়ে আগের দামে না আনলে মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান-চাল বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দাম না কমলে প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। অবৈধ আড়তদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘যারা হাজার-হাজার মণ ধান আড়তদারির নাম করে বিনা লাইসেন্সে স্টক করছে, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই।
আপনি মিল মালিক হয়েও যদি আপনার কাছে ধান মজুত থাকে তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার বাবা হলেও উপায় নেই।’
মন্ত্রী নিজের বাড়ি থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশনে আছে। ব্যবসায়িক সূত্র বা ইকোনমিক্স থিওরিতে বলে যখন চাহিদা বেশি হয় তখন দাম বাড়ে, সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে।
আমি তো এই মুহূর্তে সরবরাহ কমের কোনো অবস্থা দেখছি না। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহ যাতে না কমে যায় তার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়ে আমদানি করার চেষ্টা করছি, আমাদের ফাইল প্রসেসে আছে। হয়ত আমরা এটা ২-৪-৫ দিনের মধ্যে ফাইনাল করব। কারণ অযথা স্টক করে রেখে পরে আবার বলবেন, আমরা মরে গেলাম, মরে গেলাম।
এ কথা যাতে না শুনি।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে অভিযান, আরেকদিকে আপনাদের বিবেক, আরেকদিকে আমাদের আমদানি পদ্ধতি, প্রয়োজনে সরকারিভাবে আমদানি করব। দরকার হলে আমরা ওএমএস থানায় থানায় ছেড়ে দেব। কিন্তু বাজার বাড়তে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে একমত হলে হাত ওঠান।’
এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা হাত উঠিয়ে বলেন, ‘একমত।’
একপর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে কাল থেকে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে? আমি কিন্তু আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করলাম।’