নির্বাচনে অংশ নেবেন, আ.লীগ নেতার প্রশ্নে যা বললেন ব্যারিস্টার পার্থ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতি এখন তুঙ্গে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে বিএনপি।
এদিকে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে বিএনপি এবং সমমনা দল ও জোটগুলো থেকে লোক ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আছে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে। এহেন পরিস্থিতিতে জোট ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিচ্ছেন অনেকেই। এতে নির্বাচনি হাওয়ায় নতুনমাত্রা যোগ হচ্ছে। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
সম্প্রতি দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক নানা ইস্যু নিয়ে টকশোর আয়োজন করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন। সেখানে অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
টকশোর একপর্যায়ে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সিরিয়াসলি ল্যাক পলিটিশিয়ান। এজন্যই বিএনপির দিতে হয় তাবিথ আউয়ালকে আর আওয়ামী লীগকে দিতে হয় আতিক সাহেবকে।
আহমদ হোসেনকে উদ্দেশ করে বলেন, গ্রামাঞ্চলে আপনার (আওয়ামী লীগ) মার্কা দিয়ে দেন। কারণ হচ্ছে, গ্রামে দুর্ভাগ্যবশত আবেগী মানুষ আছে। তারা ধানের শীষ ও নৌকার দিকে লাফ দিয়ে পড়ে। শহরে ধীরে ধীরে আপনার (আওয়ামী লীগ) মাইনোরিটি হয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য ঢাকাতে যখন পাবলিক মিটিং করেন, তখন আপনারা সব কিছু বন্ধ করেন কেন? কারণ আপনারা জানেন— আপনাদের মিটিংয়ে লোক আনতে হয় ধামরাই, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ থেকে। এটির মূল কারণ হচ্ছে— ঢাকার মানুষ আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বড় প্রবলেম কী জানেন? বড় প্রবলেম দুর্নীতি নয়, প্রবলেম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিটাকে পরিবর্তন করতে পারেন নাই। এ কারণে গত ৩০ বছরে ভালো মানুষ রাজনীতিতে ঢুকে নাই। এ কারণে সংসদে অযোগ্য লোকগুলো যায়। একটা বড় জেনারেশন রাজনীতি থেকে বের হয়ে এসেছে।
পার্থ বলেন, আমরা চাই ভালো ছেলেরা রাজনীতিতে আসুক। আমরা চেষ্টা করছি তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। আর আপনারা (আওয়ামী লীগ) জাতিকে বিভক্তকরণের প্রক্রিয়ায় গেছেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অন্যের তুলনা করছেন। সবসময় জাতিকে বিভক্ত করেছেন। দেশটাকে কী করবেন জানি না?
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ব্যারিস্টার পার্থকে প্রশ্ন করেন, সামনে নির্বাচন এখন কি করবেন? জবাবে পার্থ বলেন, নির্বাচন করব না।
তা হলে নির্বাচন পরিত্যাগ করবেন?
জবাবে পার্থ বলেন, হ্যাঁ আমরা নির্বাচন পরিত্যাগ করব। আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন করব না। ভোট শেষ হয়ে গেলেও সত্য তুলে ধরব। মানুষ আমাদের কথা শুনছে। এসব কথায় তো আপনাদের লজ্জা লাগে না। বেহায়াদেরও একটা সমাজ থাকে। আপনারা ভোট চুরি করবেন। পরে বলবেন— আমরা জনগণের ম্যান্ডেড পেয়ে এসেছি।